হেসে খেলে আরাম করে চাপমুক্ত হোন।
১) যেকোনো সমস্যা নিয়ে একটু বড় আকারে ভেবে দেখুন, দেখবেন আপনার দুশ্চিন্তার বিষয়গুলো কত তুচ্ছ!
২) দুনিয়ার অসংখ্য সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্লান্তি আপনাকে বিধ্বস্ত করে ফেলতে পারে। সবকিছু আপনি একা ঠিক করে ফেলতে পারবেন না। কিছু কিছু বিষয় যেভাবে ঘটছে, ঘটতে দিন।
৩) সুন্দর কোনো প্রাণীর ভিডিও এক মিনিটের মধ্যে আপনার হৃদকম্প এবং রক্তচাপ কমিয়ে দিতে পারে।
৪) নারীরা, কফি পান করুন, সম্ভব হলে ছেড়ে দিন।
৫) স্ট্রেস বা মানসিক চাপ প্রধানত নির্ভর করে কোথায় আপনি আপনার লক্ষ্য স্থির করেছেন তার ওপর। ভালো সম্ভাবনার কথা ভাবুন অথবা ইতিবাচক বিষয়ে মনোযোগ নিবদ্ধ করুন।
৬) এক গবেষণায় দেখা যায়, নিজের খেয়ালখুশি মত করা দিনের একটা ঢিলেঢালা পরিকল্পনা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। কৌশলটা হল বাড়িতে কাজের চিন্তা না করা, অফিসে বসেই অফিসের সমস্যা সমাধানের পরিকল্পনাগুলো করে ফেলুন।
৭)উপভোগ্য একটা চ্যালেঞ্জ এবং ক্লান্তিকর কাজের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে আপনি কাজটি করার একধরনের নিয়ন্ত্রণ বোধ করেন। কাজের চাপ কমানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হল আপনার কাছ থেকে কী আশা করা হচ্ছে সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকা। ওভারটাইম কাজ করা বন্ধ করুন, এতে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি।
৮) শিল্পকলা মানসিক চাপ কমায়। সঙ্গীত কষ্টসহিষ্ণুতা বাড়ায় এবং দুশ্চিন্তা কমায়। অবসাদ কাটাতে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত সবচেয়ে বেশি কার্যকর।
৯) শারীরিক কসরত বিশেষ করে পাঞ্চিং বা ঘুষি প্র্যাকটিস করলে মন অনেক হালকা হয়, বুঝতেই পারছেন কেন!
১০) দুশ্চিন্তা যদি করতেই হয় তাহলে তো আপনাকে কেউ আটকাতে পারবে না, তবে দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় তার জন্য বরাদ্দ রাখুন। যেসব বিষয় আপনাকে পীড়া দিচ্ছে সেগুলো লিখে ফেলুন।
১১) ইচ্ছাশক্তির জোর, খারাপ অভ্যাস ত্যাগ করার, অহেতুক দোনামনা দূর করার, সৃষ্টিশীল হওয়ার এবং লক্ষ্য অর্জন করার গোপন কৌশলগুলো বোঝার চেষ্টা করুন।
১২) মনে রাখবেন, যা-ই কিছু ঘটুক না কেন, ভালোর জন্যই ঘটবে।
এতকিছু করার পরেও যদি স্ট্রেস না কমে তাহলে নিচের এই টুকিটাকি কাজগুলো করে দেখুন। অনায়াসে করতে পারবেন আর হাসতে খেলতে দূর হয়ে যাবে স্ট্রেস!
* টেলিভিশনে হাসির অনুষ্ঠান দেখুন বা উদ্দীপনামূলক গান শুনুন। * নিজের সঙ্গে কথা বলুন। * সামনে ঝুঁকে বসার পরিবর্তে পেছনের দিকে হেলান দিয়ে বসুন। * আপনার জীবনসঙ্গীর সঙ্গে বিছানায় আরও বেশি সময় কাটান। * কমেডি দেখুন। * বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিন। * অন্যদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে চেষ্টা করুন। * মাছের তেল খান। * দাঁড়ানোর সময় সোজা হয়ে দাঁড়ান। * ধ্যান করুন। * বাগান করুন। * চুইংগাম চিবান। * ভ্যানিলার ঘ্রাণ নিন। * আরাম করে ভাতঘুম দিন। * অল্প লবণ খান। * প্রকৃতির মাঝে সময় কাটানোর চেষ্টা করুন।