সমস্যা ছাড়া কোন সম্পর্ক আছে নাকি? সম্পর্ক যেমন আর যার সাথেই হয়ে থাকুক না কেন, কমবেশি সমস্যা তো হবেই। আর সম্পর্ক যদি হয়ে থাকে দাম্পত্যের তাহলে তো কথাই নেই। কেউ আসলে কখনো বলতে পারবেনা যে তার দাম্পত্য জীবনে সঙ্গীর সাথে কোন সমস্যা হয়নি কোন বিষয় নিয়ে। কারণ সমস্যা ছাড়া দাম্পত্য জীবন হয় না। তবে বেশির ভাগ মানুষের দাম্পত্য জীবনে কিছু সাধারণ সমস্যা থাকে যা অনেকের সাথেই মিলে যায়। চলুন জেনে নিই তাহলে সমস্যাগুলো সম্পর্কে।
পরিবারের অর্থ নিয়ে সমস্যা হতেই পারে। কারণ সবার দৈনন্দিন জীবন একরকম যায়না ও সবার আর্থিক অবস্থা একরকম নয়। কিন্তু বেশিরভাগ পরিবারেই অর্থ নিয়ে বেশ ঝামেলা হয়ে থাকে। দাম্পত্য জীবনে দুটি মানুষেরই বুঝতে হবে যে আর্থিক সমস্যা হতেই পারে তা নিয়ে হতাশ হওয়ার প্রয়োজন নেই। বরং এইরকম সমস্যায় একে অপরকে সহযোগিতা করা উচিত।
২. অতীতের প্রেমের সম্পর্ক:
অনেক দাম্পত্য সম্পর্কেই অতীতের যে কোন কিছু নিয়ে সমস্যা হতেই পারে। তবে তা যদি হয়ে থাকে সঙ্গীর কোন অতীতের প্রেম নিয়ে তাহলে একটু বেশিই সমস্যা হয়ে থাকে। তবে মানুষের জীবনে অতীত থাকতেই পারে তাই বলে এই ব্যাপারগুলো নিয়ে হয়তো সমস্যা তৈরি করা ঠিক নয়। বরং বর্তমানে আপনার সঙ্গী কেমন সেদিকেই নজর দেওয়া বেশি প্রয়োজন।
সব পরিবারেই সমস্যা থাকে। আর পারিবারিক সমস্যাগুলো হয়ে থাকে বিশেষ করে, বউ-শ্বাশুড়ী, ভাবি-ননদ, দেবর-ভাবি অথবা পরিবারের অন্য কোন মানুষের সাথে। এই বিষয়গুলো নিয়েও দাম্পত্যে অনেক সমস্যা হয়ে থাকে। তাই পরিবারের কোন ব্যক্তির সাথে সমস্যা হলে প্রথমেই সঙ্গীকে বলে রাখা ভাল।
৪. দাম্পত্যে একে অপরের যোগাযোগ:
দাম্পত্যের বয়স যতই হয়ে থাকুক না কেন। নিজেদের মধ্যে ভাল যোগাযোগ রাখতে গেলেও অনেক সময় সমস্যা তৈরি হয়। কারণ স্বাভাবিক ভাবেই পুরুষেরা কাজ নিয়ে বাইরে ব্যস্ত থাকেন। বাড়ি ফেরার পর ক্লান্ত থাকেন। তখন হয়তো স্ত্রীর সাথেও সময় কাটাতে ভাল লাগেনা। এবং এই তুচ্ছ ব্যাপারটি নিয়েই দাম্পত্যে সমস্যার তৈরি হয়।
সন্তান নিয়ে সমস্যা কোন পরিবারে হয়না? সন্তানের স্কুল, লেখা-পড়া, খাওয়া-দাওয়া, আচার-ব্যবহার অনেক কিছু নিয়েই সমস্যা তৈরি হয় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। কিন্তু সন্তানেরা ভুল করতেই পারে তাই বলে এই বিষয় নিয়ে খুব ঝামেলা না করাই ভাল। মাথা ঠাণ্ডা রেখে সমস্যা সমাধান করা উচিত।
৬.কোন ব্যাপারে মূল্যায়ন না করা:
অনেক স্বামী ও স্ত্রী আছেন যারা কিনা একে অপরের কথা, সিদ্ধান্ত, ভাল-মন্দ কোন কিছুই মূল্যায়ন করতে চান না। কোন সমস্যা হলেও তা পাত্তা দেন না। এমনটা যে কোন দাম্পত্য জীবনে থাকলে তা কখনোই সুখের হতে পারেনা। তাই সঙ্গীকে যথেষ্ট মূল্যায়ন করা উচিত।
এমন অনেক পরিবার আছে যেখানে স্ত্রীদের চাকরি করাটা মোটেও পছন্দ করেন না। এই ব্যাপারটি নিয়েও শুধু স্বামীর সাথেই সমস্যা হয়না পরিবারের অন্যদের সাথেও সমস্যা হয়ে থাকে। কিন্তু সবারই স্বাধীনতা থাকা উচিত। সবসময় ভাল চিন্তা করা উচিত। একজন নারী যদি শিক্ষিত হয়ে থাকে তার অবশ্যই অধিকার আছে কোন কিছু করার। তাই এই স্বাধীনতায় বাধা না দেয়াই ভাল।
৮. স্বামী-স্ত্রীর বিপরীত ধর্ম:
বহু বছর আগে থেকেই আমাদের সমাজে ও দেশের বাইরে ভিন্ন ধর্মের ছেলে-মেয়েরা নিজেরাই পছন্দ করে বিয়ে করে আসছেন এমনকি এখনও হচ্ছে। যেহেতু এমন বিয়েতে ছেলে ও মেয়ে কারো পরিবার রাজি থাকেন না। তাই দুজনকে পরিবার ছাড়া অন্য কোথাও থাকতে হয়। আর তখনই দেখা দেয় নানা ধরনের সমস্যা। ধর্ম যেহেতু বিপরীত তাই অনেক কিছুই একজনের সাথে অন্যজনের মিলে না ও উভয়ের পরিবার থেকে সমস্যা তো থাকেই।