প্রতি বছর মার্চ মাসে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হয়। লিঙ্গবৈষম্য দূর করতে, নারী সমানাধিকারের জন্য সারা বিশ্ব জুড়েই পালন করা হয় এই দিনটি। আন্তর্জাতিক নারী দিবস ( পূর্বনাম আন্তর্জাতিক কর্মজীবী নারী দিবস) প্রতি বছর মার্চ মাসের ৮ তারিখে পালিত হয়। সারা বিশ্বব্যাপী নারীরা একটি প্রধান উপলক্ষ হিসেবে এই দিবস উদ্যাপন করে থাকেন। বিশ্বের এক এক প্রান্তে নারীদিবস উদ্যাপনের প্রধান লক্ষ্য এক এক প্রকার হয়। কোথাও নারীর প্রতি সাধারণ সম্মান ও শ্রদ্ধা উদ্যাপনের মুখ্য বিষয় হয়, আবার কোথাও মহিলাদের আর্থিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠাটি বেশি গুরুত্ব পায়।
ইতিহাস: United Nations Educational, Scientific and Cultural Organisation বা UNESCO-র তরফ থেকে জানা গিয়েছে, ১৯০৯ সালে ২৮ফেব্রুয়ারি প্রথম আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হয়। নারী শ্রমিকদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে এই দিনটি পালন করা হয়। পরে রাশিয়াতেও ১৯১৭ সাল থেকে এই দিনটি পালিত হতে থাকে একই কারণে। তবে রাশিয়াতেই দিনটি পালিত হয় ৮ মার্চ। তার পর থেকে সেটিই হয়ে আসছে।
এ বছরের থিম: প্রতি বছরের মতো এ বছর আন্তর্জাতিক নারী দিবসের একটি থিম রয়েছে। এবারের থিম ‘সুন্দর আগামী কালের জন্য আজ লিঙ্গসমতা দরকার’। ইংরেজিতে ‘Gender equality today for a sustainable tomorrow’।
করোনাভাইরাস অতিমারির কারণে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জগুলোকে চিহ্নিত করা হচ্ছে চলতি বছরের আন্তর্জাতিক নারী দিবসে। বিশেষ করে নীতি নির্ধারণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীরাও যে সমান অংশীদার হতে পারেন, এই থিমের মাধ্যমে তাই বোঝানো হচ্ছে। পরিস্থিতির চাহিদা অনুযায়ী, ভবিষ্যতের সমানাধিকার এবং অতিমারি থেকে পুনরুদ্ধারের জন্য নারীদের চেষ্টা সকলের সামনে তুলে ধরা । উল্লেখ্য, করোনা অতিমারি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অধিকাংশ নারী নেতৃত্ব তুলনামূলক অধিক সফলতার পরিচয় দিয়েছেন।
গুরুত্ব: লিঙ্গবৈষম্য দূর করার জন্য এই দিনটি পালিত হয়। শিল্প-সাহিত্য-সহ সব ধরনের ক্ষেত্রে এবং সমাজের সমস্ত কাজে মহিলাদের অবদানকে স্বীকৃতি দিতেই এই দিনটি পালিত হয়।
আন্তর্জাতিক নারী দিবসের মধ্য দিয়ে নারীত্বের উৎসব পালিত হয়। জাতি, ধর্ম, ভাষা, সংস্কৃতি, অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে নারীদের কৃতিত্বকে স্বীকৃতি জানানোর জন্য এই দিনটি পালিত হয়। এই দিনে প্রত্যেককে নারী অধিকার ও লিঙ্গ সমতা সম্পর্কে সচেতন করে তোলা হয়। পাশাপাশি নারীদের সমান অধিকারের লড়াই জোরদার করা এই দিনটি পালনের অন্যতম উদ্দেশ্য। পারিবারিক বা ব্যক্তিগত কিংবা পেশাগত জীবনে নারীদের যেসব সমস্যা মোকাবিলা করতে হয়, এই দিবস পালনের মধ্য দিয়ে তা যেমন সকলের সামনে তুলে ধরা হয়, তেমনি সচেতনতা বাড়ানোতেও রাখে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা।
"এসো নিজে করি"র পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের শুভেচ্ছা সবাইকে। সুস্থ মন সুস্থ জীবন উপভোগ করুন। প্রত্যেক মানুষেরই জীবনের মূল্য রয়েছে, নিজে সচেতন হোন এবং আপনার প্রিয় মানুষদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করুন। সবাই ভালো থাকবেন।